About School
রহমানিয়া এলিমেন্টারি স্কুলের অবস্থান ও পরিচিতি:
বিভাগীয় শহর খুলনা থেকে ২৩
কিলোমিটার উত্তরে যশোর-খুলনা মহাসড়কে অবস্থিত ফুলতলা উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে ৪ কিলোমিটার
ভিতরে ছায়া ঘেরা সবুজ শীতল পায়গ্রাম কসবা গ্রাম। পাঠান আমলে এই গ্রামের ভৈরব নদের তীরে
বিখ্যাত সুফি ও সাধক হযরত খান জাহান আলী (রহঃ) প্রাচীন জনপদ গড়ে তুলেছিলেন। শুরুতে
এই গ্রামেই তিনি বাসস্থান নির্ধারণ করেন। পরবর্তীতে খুলনার উপকন্ঠে বাগেরহাটে স্থায়ীভাবে
বসবাস শুরু করেন। ইংরেজ শাসন আমলে এখানকার বাসিন্দারা শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষা
ও বানিজ্যে সমৃদ্ধি লাভ করেন। যার ফলে পরবর্তী প্রজন্ম দেশের সমাজ সংস্কারসহ রাষ্ট্রীয়
প্রশাসনে বিভিন্নমুখী কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন।
এই গ্রামে রয়েছে ১০০ বছরের পুরনো পায়গ্রাম কসবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এলাকার বহু গুণী ব্যক্তিত্ব এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। গ্রামে রয়েছে পিচঢালা পথ, বিদ্যুৎ ও ডিজিটাল টেলিফোন সংযোগ ব্যবস্থাসহ উন্নততর শহুরে নাগরিক সুযোগ সুবিধা। অন্যদিকে ভৈরব নদের কুল ঘেঁষা প্রচুর ঘন গাছপালা ও বাঁশঝাড় ঘেরা একটি মনোরম পরিবেশ। এরই মাঝে অবস্থিত আমাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমানিয়া এলিমেন্টারি স্কুল।
পায়গ্রাম কসবার পাশেই দক্ষিণডিহি
গ্রাম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গ্রামে বিয়ে করেন।
এই গ্রামেই ১৮৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে মৃণালিনির বিয়ে হয়।
ব্রিটিশ আমলের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
মরহুম বি ডব্লিউ এম আব্দুর রহমান-এর পুত্র জনাব কুতুবুদ্দিন আহমেদ (গোরা) ১৯৪৮ সালে
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব এবং কৈশর কেটেছে পায়গ্রাম কসবা গ্রামে। কুতুবুদ্দিন আহমেদ
১৯৬৫ সালে পায়গ্রাম কসবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন এবং উচ্চতর শিক্ষার
জন্য ঢাকায় চলে যান। লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বাসনা নিয়ে একসময় কানাডায়
পাড়ি জমান। উন্নততর শিক্ষা ও নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য তিনি সাময়িক ভাবে গ্রাম
ছেড়ে দূরে অবস্থান করলেও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আবারও ফিরে আসেন নিজ গ্রামে।
বর্তমানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে,
নিজ অর্থে ও নিঃস্বার্থ ভাবে নিজ গ্রামসহ বাংলাদেশের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার
উন্নয়ন ও মানবতার জন্য কাজ করে চলেছেন।